 |
|
Helpful Links:
|
|
| |
Saiyed
Yaseen Siwani in Bangla
সহাজীউল হারামাঈন মাখদূম মীর সাইয়িদ ইয়া্সীন সিওয়ানী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি
হযরত মীর সাইয়িদ ইয়া্সীন সিওয়ানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি দিল্লীর নিকটবর্তী
এলাকা “সামানা” তে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য
পাওয়া যায়নি। পক্ষান্তরে তাঁর বংশ পরিক্রমা সম্বন্ধে জানা যায় যে, তাঁর
মাতৃকুল ও পিতৃকুল উভয়পক্ষয় সাইয়িদবংশীয় হওয়ায় তিনি ছিলেন নাজীবুত তারাফাঈন
সাইয়িদ। পিতৃকুলে তাঁর বংশপরপম্পরা হযরত শাহ মীর রহমাতুল্লাহি আলাইহির সাথে
এবং আরো উপরে গিয়ে আহলুল বাইতের ৭ম ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালামের সাথে
মিলিত হয়। তাঁর পূর্বপুরুষগণ বর্তমান ইরানের শিরায নগরের বাসিন্দা ছিলেন,
এবং উনাদের অধিকাংশই ইলমে হাদীসের প্রচার প্রসারে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
তাদের সকলেই খোদাভীরুতা ও দুনিয়াবিমূখতার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ছিলেন।
কৈশরে পদার্পণ করতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়ায় স্বপরিবারে
জন্মস্থান সামানা ত্যাগ করে গুজরাতের জোনাগাড় নামক স্থানে স্থায়ী হন।
ছাত্রজীবনের অধিকাংশ পাঠ্যবই শায়খ ওয়াজীহুদ্দীন আলাভী গুজরাতী রহমাতুল্লাহি
আলাইহির বিশেষ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেন এবং তারই মোবারক হাতে বাইয়াত হন।
হজ্জ, যিয়ারত ও পরবর্তী উচ্চশিক্ষা হাসিলের লক্ষ্যে হিজাযে মুকাদ্দাসের
উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং যিয়ারত শেষে সেখানকার বিজ্ঞ মুহাদ্দিসীনে কিরামের
তত্ত্বাবধানে থেকে ইলমে হাদীসের উচ্চশিক্ষায় মনোনিবেশ করেন। শিক্ষাজীবনের
সমাপ্তি ঘটলে ইলমে হাদীসের ইজাযত প্রাপ্ত হন এবং হিন্দুস্তান প্রত্যাবর্তন
করেন, প্রত্যাবর্তনকালে লাহোরে যাত্রাবিরতি করে কিছুদিন অবস্থান করেন সেখান
থেকে সিরহিন্দ নামক স্থানে গমণ করে কিছুদিন থাকেন এবং পূণরায় জোনাগড়ে ফিরে
আসেন। জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ ভ্রমণে অতিবাহিত করেন। “তাযকিরাতুল ওয়াজীহ”
গ্রন্থ প্রণেতার মতে তিনি হিজাযে মুকাদ্দাস থেকে ফিরে আসার পর বাইয়াত গ্রহণ
করেন। খিলাফত ও ইজাযত গ্রহণ করে পাঞ্জাব অভিমূখে রওয়ানা হন।
একটি বর্ণনা মতে, মীর সাইয়িদ ইয়া্সীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি তরিকতের পথে
প্রবেশ করার পর, কোন একটি বিষয়ে সামান্য বিচ্যুতি ঘটে যায়, যার ফলস্বরূপ
তিনি নিজ অন্তরে কিছুটা পার্থক্য অনুভব করছিলেন এবং তাই তিনি হজ্জে
বাইতুল্লাহ এবং যিয়ারতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া
সাল্লাম এর উদ্দেশ্যে বের হন। মদীনা মুনাওয়ারায় থাকাকালীন সময়ে তিনি
সূদীর্ঘ ১২ বছর স্বীয় দাড়ি মুবারক দ্বারা রওযায়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম পরিষ্কার পরিচ্ছন করার সুমহান দায়িত্ব পালন করেন।
এ্মনিভাবে একদিন তিনি রওযায়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া পরিচ্ছন্নতার
কাজে মশগুল ছিলেন, এমতাবস্থায় রওযা শরীফ হতে আওয়াজ শুনতে পান, “ শাহবাজ
মুহাম্মাদ মুঙ্গেরে বসবাসকারী একজন ব্যক্তি, হয়তো তুমি তাঁর নিকট বাইয়াত হয়ে
যাও নতুবা তাঁকে তোমার নিকট বাইয়াত করে নাও”। আদেশ পাওয়া মাত্র কালবিলম্ব
না করে তিনি জাহাজে আরোহণ করে হিন্দুস্তান অভিমূখে রওয়ানা হন এবং সেখানে
পৌছে সুলতানুল আরিফীন শাহবাজ মুয়াহাম্মাদ ভাগলপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে
বাইয়াত করেন।
বাইয়াতের পর সুলতানুল আরিফীনের সাথে মীর সাইয়িদ ইয়াসীন রহমাতুল্লাহি
আলাইহিমার এক অনন্য ও সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যার ফলস্বরূপ সুলতানুল
আরিফীন নিজ শায়খ মীর সাইয়িদ ইয়াসীন রহমাতুল্লাহি আলাইহির প্রধান খলিফা
হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। এ ছাড়াও মীর সাইয়িদ ইয়াসীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি
তাঁর অধিকাংশ সন্তান ও আত্মীয়স্বজনের পড়ালেখার দায়িত্ব সুলতানুল আরিফীনের
ওপর অর্পণ করেন। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর সমস্ত সন্তানকে হুযুর সুলতানুল
আরিফীনের মোবারক হাতে বাইয়াতও করান।
হাজীউল হারামাঈন মাখদূম মীর সাইয়িদ ইয়া্সীন সিওয়ানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
শেষ জীবনে স্বপরিবারে জোনাগড় ত্যাগ করে বিহার শরীফ নামক স্থানে এসে
প্রখ্যাত কামিল বুযুর্গ হযরত মাখুদূম শারফুদ্দীন ইয়াহ্ইয়া মানেঈরী বিহারী
রহমাতুল্লাহি আলাইহির মাযার শরীফের নিকট “খন্দক পাড়” নামক মহল্লায় স্থায়ী
হন। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। ১০১৭ হিজরীর ১৫ই
মুহাররম শরীফ নশ্বর পৃথিবী ত্যাগ করে মহান রবের ডাকে সাড়া দেন। খন্দক পাড়
নামক মহল্লাতেই একটি মাটির টিলার ওপর নিম গাছের ছায়ায় এ মহান বুযুর্গের
মাযার শরীফ অবস্থিত রয়েছে।

Mazar of Syed Yasin Siwani (ra) at Bihar , India

Written By Syed Arbaz Shahbazi |
|
This site is
dedicated to Dr. Syed Khalilullah
A wonderful man who believed in the future of Shahbaz Center and donated it's land.
|
|